দেশাত্মবোধক

এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা


এই পদ্মা, এই মেঘনা, এই যমুনা সুরমা নদী তটে
আমার রাখাল মন গান গেয়ে যায়
এ আমার দেশ, এ আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায় মিলন বিরহ সংকটে

এই মধুমতী ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদপটে

এই পদ্মা এই মেঘনা এই হাজার নদীর অববাহিকায়
এখানে রমণীগুলো নদীর মতো, নদীও নারীর মতো কথা কয়
এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুয়ে নির্ভয় নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফোটে



একতারা তুই দেশের কথা


একাত্তরের মা জননী, কোথায় তোমার
মুক্তি সেনার দল।
যারা অস্ত্র হাতে ধরেছিলো,
মাগো তোমার তরেই মরেছিলো।
ও মা যাদের ভয়ে পালিয়েছিলো শত্রু
সেনার দল।
ও………. মা!
একাত্তরের মা জননী . . .

আজো কেনো তোমার বুকে জ্বলছে আগুন,
চলছে গুলি, মরছে মানুষ।
জবাব তোমায় দিতেই হবে মাগো,
জবাব তোমায় দিতেই হবে মা।
সন্ত্রাসীদের
হাতে কেনো জিম্মি তুমি, স্বদেশ
আমার মাতৃভূমি।
জবাব তোমায় . . .

কেনো বিদ্যালয়ে ফুটছে বোমা, এই
কি পেলাম শিক্ষা ও মা।
লাঞ্ছিত আজ শিক্ষা গুরু,
চোখে দুঃখের জল।
ও……….. মা ।

আজো কেনো তোমার
বুকে ঘুরছে তারা, একাত্তরের দালাল
যারা।
জবাব তোমায় . . .
লাখো লাখো শহীদ কেনো রক্ত দিলো,
এই কি তাদের স্বপ্ন ছিলো।
জবাব তোমায় . . .
ও মা রক্তে ভেজা এই না মাটি, জীবন
দিয়ে রাখবো খাটি।
শপথ নিলাম আজকে তরুণ ছাত্র-ছাত্রী দল।
ও………..মা।
একাত্তরের মা জননী . . .






একটি বাংলাদেশ

একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার

সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।।

তোমার স্বাধীনতা গৌরব সৌরভে
এনেছে আমার প্রানের সূর্যে রৌদ্রেরও সজীবতা
দিয়েছে সোনালী সুখী জীবনের দৃপ্ত অঙ্গীকার।
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।

তোমার ছায়া ঢাকা রৌদ্রেরেরও প্রান্তরে
রেখেছি অতল অমর বর্নে মুক্তির স্নেহ মাখা।।
জেনেছি তুমি জীবন মরণে বিমুগ্ধ চেতনার।
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমার অহংকার।

No comments:

Post a Comment

Please do not enter any spam link in the comment box